
শোবার ঘর সাজাতে যা লক্ষণীয়
শুধু ঘুম আর বিশ্রামের জন্য নয়, মেজাজ অনুযায়ী শোবার ঘরের পরিবেশ তৈরি করতে বিভিন্ন রকম আলোর ব্যবস্থা রাখাই যায়।
বসার ঘর বা ড্রইংরুম সাজাতে আমরা যতটা মাথা ঘামাই ততটা ভাবি না শোবার ঘর নিয়ে। কারণ দুটো খাট, একটা আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, কোনো কোনো সময় ম্যাট্রেস এসব দিয়েই শোবার ঘর ভরে যায়। ফলে হোটেলের মতো সুন্দর করে বাসার বেডরুম সাজানো হয় না।
অথচ কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখলে সহজেই সুন্দর করে শোবার ঘর সাজিয়ে নেওয়া যায়। গৃহসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সেসব পন্থা নিয়েই এই আয়োজন।
আলোর ব্যবহার: শোবার ঘর শুধু বিশ্রাম বা ঘুমের জন্য নয়। তাই বিভিন্ন রকম আলোর ব্যবস্থা করতে পারেন এই ঘরে। বিছানার পাশে মাথার কাছে মৃদু আলোর ব্যবস্থা রাখুন, যা মেজাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। মাথার উপর লাগাতে পারেন ‘ডিমার’; যাতে মেজাজ-মরজি অনুযায়ী আলোর উজ্জ্বলতা বাড়াতে কমাতে পারেন।
শিল্পকর্ম: ড্রইংরুম বা খাবার ঘরেই সাধারণত শিল্পকর্ম রাখা হয়। শোবার ঘরের দেওয়াল থাকে খালি। তাই বেডরুমের দেয়ালের প্রতি মনোযোগী হন। এখানে এমন কোনো শিল্পকর্মের বিন্যাস করুন যা ঘুমাতে যাওয়ার সময় এবং ওঠার সময় চোখে পড়ে।
উজ্জ্বল রং: শোবার ঘরে সাধারণত হালকা রং ব্যবহার করতে বলা হয়। কারণ হয়ত চোখে লাগতে পারে। সাধারণ ভাবেই হালকা বা ঠাণ্ডা রং স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি করতে পারে। আর শোবার ঘরকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়।
আসবাব: শোবার ঘরে যতটা সম্ভব আসবাব এড়িয়ে চলুন, জায়গা উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত সংরক্ষণ সুবিধা আছে এমন আসবাব ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস দূর করুন। ঘর থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিলে থাকবে না দমবন্ধ ভাব।
বিছানার বিন্যাস: সবচেয়ে বাজে ব্যাপারে ঘটে তখনেই যখন বিছানা সাজানোতে ভুল করা হয়। ভালো ঘুমের জন্য বিছানায় উন্নতমানের লিনেন চাদর ব্যবহার করতে পারেন। যা দেখতেও ভালো লাগে আবার ঘুমও ভালো হয়।
এছাড়া বিছানায় খুব বেশি বালিশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ঘুমের জন্য একটা আরামদায়ক বালিশ এবং সাজানোর জন্য একটা সুন্দর নকশা করা বালিশ যথেষ্ট। অপ্রয়োজনীয় বালিশ বিছানা থেকে সরিয়ে রাখুন।